আন্তর্জাতিক ডেস্ক
১৯ অক্টোবর, ২০২৫, 12:01 AM
রেটোরিক উত্তপ্ত—মুনিরের হুমকি ও ভারতের ‘ইতিহাস-ভূগোল’ মন্তব্যের পাল্টা প্রতিক্রিয়া
পাকিস্তানের সেনাপ্রধান অসীম মুনির-এর সাম্প্রতিক বক্তব্য—যেখানে তিনি পারমাণবিকভাবে সংবেদনশীল পরিবেশের কথা উল্লেখ করে ‘অনুপাতবহির্ভূত’ প্রতিক্রিয়ার ইঙ্গিত দেন—এলাকা জুড়ে কূটনীতিক তৎপরতা ও প্রতিরক্ষা পর্যায়ে সতর্কতা বাড়িয়েছে। মুনির কাকুলে দেওয়া ভাষণে জানিয়েছিলেন, “আমাদের যুদ্ধের সক্ষমতা বাড়েছে” এবং প্রয়োজনে “অনেক বেশি প্রতিক্রিয়া” দেখাতে পারে।
এই রেঞ্জে উদ্বেগজনক বিষয় হলো—ভারতও মুদ্রার অপর পাশ থেকে উত্তরে্যন। প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং এর দাবি যে সীমান্তে যদি কোনো রকম দুঃসাহস দেখানো হয় তা “ইতিহাস ও ভূগোল বদলে দিতে পারে”, এবং ভারতীয় সেনা প্রধান উপেন্দ্র দ্বিবেদী-র কঠোর ভাষ্য—এই সবই প্রতিনিয়ত আঞ্চলিক উত্তেজনা বাড়াচ্ছে। প্রতিরক্ষামন্ত্রী ও সেনা প্রধানের মন্তব্যগুলোর পর পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী তথা কতিপয় সেনা আধিকারিকের পাল্টা কড়া ভাষাও শোনা গেছে।
বিশ্লেষকরা বলছেন, এই ধরণের একাধিক উস্কানিমূলক রেটোরিক—বিশেষত যখন পারমাণবিক ক্ষমতার প্রসঙ্গ আসে—তবে তা বাস্তব সংঘাতে রূপ নেয় না, তবু ভ্রান্ত হিসাব-নিকাশ ও ভুলভাবে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণের ফলে দুর্ঘটনাজনিত সংঘাতের সম্ভাবনা বাড়ে। কূটনৈতিক ব্যবস্থাপনা এবং মেলামেশার চ্যানেলগুলোর কার্যকারিতা এখন সবচেয়ে বড় ভুমিকা রাখবে, যাতে উত্তেজনা কূটনৈতিক ও কন্ট্রোলড ফোরামে সীমাবদ্ধ রাখা যায়।
অবসান-সুত্র: সাম্প্রতিক ঘটনায় দুই দেশের উভয় নেতার তীব্র বক্তব্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় ও নিকটস্থ মিত্রদেশগুলোর নজরে এসেছে; কৌশলগত বিশ্লেষকরা মনে করেন—যদি কূটনৈতিক পথ সক্রিয় না রাখা হয়, তাহলে নিয়মিত শব্দযুদ্ধে কোনও দিনও ছোট্ট একটি ঘটনা বড় বিপর্যয়ে রূপ নিতে পারে।