আন্তর্জাতিক ডেস্ক
১০ নভেম্বর, ২০২৫, 12:29 AM
পাকিস্তানে সংবিধানের ২৭তম সংশোধনী বিল সিনেটে উত্থাপন, প্রস্তাবে নতুন সাংবিধানিক আদালত ও সামরিক পুনর্গঠন
তীব্র রাজনৈতিক বিরোধিতা ও প্রতিবাদের মধ্যেই পাকিস্তানের সংবিধানের ২৭তম সংশোধনী বিল সিনেটে উত্থাপন করা হয়েছে। শনিবার (৯ নভেম্বর) মন্ত্রিসভার অনুমোদনের কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই ২৬ পৃষ্ঠার বিলটি সিনেটে উপস্থাপন করেন আইনমন্ত্রী আজম নাজির তারার।
বিলটি পাস হলে এটি ‘সংবিধান (২৭তম সংশোধনী) আইন, ২০২৫’ নামে কার্যকর হবে। প্রস্তাবে সংবিধানে কয়েকটি বড় পরিবর্তনের কথা বলা হয়েছে, যার মধ্যে অন্যতম হলো ‘ফেডারেল কনস্টিটিউশনাল কোর্ট’ গঠন। এই আদালত ভবিষ্যতে সংবিধানসংক্রান্ত মামলা দেখবে, যা বর্তমানে সুপ্রিম কোর্ট ও উচ্চ আদালতে নিষ্পত্তি হয়।
বিল অনুযায়ী, উচ্চ আদালতের বিচারপতি নিয়োগ প্রক্রিয়ায় পরিবর্তন আনা হবে। একইসঙ্গে সামরিক নেতৃত্ব কাঠামোয় বড় ধরনের রদবদলের প্রস্তাব রয়েছে।
প্রস্তাবিত সংশোধনীর অধীনে জয়েন্ট চিফস অব স্টাফ কমিটির (সিজেসিএসসি) পদ বিলুপ্ত করা হবে। সেনাপ্রধানই প্রতিরক্ষা বাহিনীর একক প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন। তাঁর সুপারিশেই প্রধানমন্ত্রী ন্যাশনাল স্ট্র্যাটেজিক কমান্ডের প্রধান নিয়োগ দেবেন।
বিলে আরও প্রস্তাব করা হয়েছে, সংবিধানের ২৪৮ অনুচ্ছেদে সংশোধন এনে প্রেসিডেন্টকে আজীবন বিচার ও গ্রেপ্তার থেকে অব্যাহতি দেওয়া হবে। গভর্নরদের ক্ষেত্রে এ সুরক্ষা থাকবে শুধু দায়িত্ব পালনকালে।
এ ছাড়া সংসদের মোট সদস্যসংখ্যার ১৩ শতাংশ পর্যন্ত মন্ত্রী রাখার সুযোগ রাখার প্রস্তাব করা হয়েছে, যা বর্তমানে ১১ শতাংশ।
বিরোধী দলগুলো এই সংশোধনীকে ‘সংবিধানের ওপর সরাসরি আঘাত’ বলে অভিহিত করেছে। বিলটি এখন সিনেটের স্থায়ী কমিটিতে পাঠানো হয়েছে, সেখানকার পর্যালোচনা শেষে ভোটের জন্য পুনরায় সিনেটে আনা হবে।
সূত্র: দ্য ডন