ডেস্ক রিপোর্ট
২৫ অক্টোবর, ২০২৫, 11:42 PM
রেমিট্যান্সে বাড়ছে গতি, হুন্ডি কমছে—অর্থনীতিতে স্বস্তির বার্তা
বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রা প্রবাহে আবারও ইতিবাচক স্রোত। অক্টোবরের প্রথম ২২ দিনে প্রবাসী আয় এসেছে ১৯২ কোটি ১০ লাখ মার্কিন ডলার, যা গত বছরের একই সময়ের তুলনায় উল্লেখযোগ্যভাবে বেশি।
বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র আরিফ হোসেন খান জানিয়েছেন, “রেমিট্যান্স প্রবাহে এই উল্লম্ফন সরকারের প্রণোদনা ও বৈধ চ্যানেলের প্রতি আস্থার ফল।”
অর্থনীতিবিদদের মতে, সাম্প্রতিক সময়ে হুন্ডি চক্রের ওপর কঠোর নজরদারি, মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসের (MFS) মাধ্যমে বৈধ লেনদেনের সুযোগ এবং প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের যৌথ উদ্যোগে নতুন ব্যাংকিং সেবার প্রসার এ বৃদ্ধির পেছনে বড় ভূমিকা রেখেছে।
চলতি অর্থবছরের (২০২৪–২৫) প্রথম চার মাসে মোট রেমিট্যান্স এসেছে প্রায় ৯৫০ কোটি ৭০ লাখ ডলার, যা আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ১৪ দশমিক ১০ শতাংশ বেশি।
এই প্রবৃদ্ধি বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভে সাময়িক স্বস্তি আনলেও, অর্থনীতিবিদরা সতর্ক করছেন যে, বৈধ চ্যানেলের ধারাবাহিক ব্যবহার ও বিনিময় হার স্থিতিশীলতা নিশ্চিত না হলে এই গতি স্থায়ী নাও হতে পারে।
গত এক বছরে মাসভিত্তিক রেমিট্যান্সে ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা দেখা গেছে—জুলাইয়ে ২৪৭.৮০ কোটি, আগস্টে ২৪২.২০ কোটি এবং সেপ্টেম্বরে ২৬৮.৫৮ কোটি ডলার এসেছে।
এর আগে গত অর্থবছরের মার্চ মাসে সর্বোচ্চ ৩২৯ কোটি ডলার পাঠিয়েছিলেন প্রবাসীরা।
অর্থনীতিবিদ ড. জাহিদ হোসেন বলেন, “বাংলাদেশ ব্যাংকের উদ্যোগে রেমিট্যান্স প্রবাহে নতুন গতি এসেছে, তবে এখন গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো এই প্রবাহকে টেকসই করা—অর্থাৎ হুন্ডি পুরোপুরি নির্মূল করে ব্যাংকিং চ্যানেলের আস্থা আরও বাড়ানো।”
প্রবাসীদের পাঠানো এই রেমিট্যান্সই দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের প্রধান উৎস—তাই এর ইতিবাচক ধারা অর্থনীতিতে আশাবাদের বার্তা বয়ে এনেছে।