নিজস্ব প্রতিবেদক
০৪ নভেম্বর, ২০২৫, 11:56 PM
বাংলাদেশে এয়ারবাসের কূটনৈতিক তৎপরতা, বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের বহরে যুক্ত হতে আগ্রহী ইউরোপীয় বিমান নির্মাতা
বাংলাদেশে এয়ারবাসের কূটনৈতিক তৎপরতা, বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের বহরে যুক্ত হতে আগ্রহী ইউরোপীয় বিমান নির্মাতা
বাংলাদেশের দ্রুত বর্ধনশীল এভিয়েশন খাতে নিজেদের অবস্থান শক্ত করতে এবার সরাসরি কূটনৈতিক তৎপরতা শুরু করেছে ইউরোপের শীর্ষ বিমান নির্মাতা প্রতিষ্ঠান এয়ারবাস।
মঙ্গলবার ঢাকায় ফ্রান্স-জার্মান দূতাবাসে অনুষ্ঠিত “বাংলাদেশের এভিয়েশন গ্রোথ” শীর্ষক এক আলোচনায় অংশ নেয় প্রতিষ্ঠানটি। সভায় ফ্রান্সের রাষ্ট্রদূত জ্যঁ-মার্ক সেরে-শার্লে, জার্মান রাষ্ট্রদূত ড. রুডিগার লটজ, যুক্তরাজ্যের হাইকমিশনার সারাহ কুক এবং ইইউ রাষ্ট্রদূত মাইকেল মিলার উপস্থিত ছিলেন।
এয়ারবাস জানিয়েছে, বর্তমানে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের কাছে ১৪টি উড়োজাহাজ বিক্রির প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে—যার মধ্যে রয়েছে ১০টি এয়ারবাস A-350 এবং ৪টি A-320neo। অন্যদিকে, যুক্তরাষ্ট্রের বোয়িং কোম্পানির কাছ থেকে ২৫টি বিমান কেনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার।
সভায় ইউরোপীয় কূটনীতিকরা বলেন, এয়ারবাসের প্রযুক্তিগত উৎকর্ষ ও উদ্ভাবন বিমানের বহরকে আরও আধুনিক ও পরিবেশবান্ধব করতে সহায়ক হবে। ফ্রান্সের রাষ্ট্রদূত বলেন, “বাংলাদেশ এখন আঞ্চলিক এভিয়েশন হাব হিসেবে বিকশিত হওয়ার সব উপাদানই ধারণ করছে, এবং এই প্রক্রিয়ায় এয়ারবাস হতে পারে একটি কৌশলগত অংশীদার।”
জার্মান রাষ্ট্রদূত রুডিগার লটজ বলেন, বাংলাদেশের মধ্যবিত্ত শ্রেণির প্রসার এবং অর্থনীতির বৃদ্ধি বিবেচনায় আধুনিক ও পরিবেশবান্ধব উড়োজাহাজের এখনই প্রয়োজন।
এয়ারবাসের কমার্শিয়াল সেলস ডিরেক্টর রাফায়েল গোমেজ নয়া জানান, “দক্ষিণ এশিয়ায় পরিচালিত ফ্লাইটের ৭২ শতাংশই এয়ারবাসের উড়োজাহাজ। বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সও এয়ারবাসকে অংশীদার হিসেবে পেলে সেটি হবে সঠিক সিদ্ধান্ত।”