নিজস্ব প্রতিবেদক
২৫ জুলাই, ২০২৫, 2:41 PM
প্রশিক্ষণ বিমানের ভয়াবহতা: যেখানে জীবন দিলেন একজন শিক্ষিকা
উত্তরার মাইলস্টোন স্কুলে প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্ত হয়ে নিহত শিক্ষিকা মাহেরীন চৌধুরীর পরিবার রাষ্ট্রীয় মর্যাদা দাবি করেনি। তবে রাষ্ট্র যদি মনে করে তার দায়িত্ব ও আত্মত্যাগের ভিত্তিতে কিছু সম্মান দেয়, সেটি তারা শ্রদ্ধাভরে গ্রহণ করবেন বলে জানিয়েছেন স্বামী মনসুর হেলাল।
শুক্রবার (২৫ জুলাই) সকালে নীলফামারীর জলঢাকা উপজেলার বগুলাগাড়ী গ্রামে স্ত্রীর কবর জিয়ারত শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন তিনি।
মনসুর হেলাল বলেন, পারিবারিকভাবে আমাদের তেমন কোনো চাওয়া-পাওয়া নেই। মাহেরীন তার দায়িত্ব পালন করেছেন। রাষ্ট্র যদি মনে করে যে, তিনি রাষ্ট্রীয় মর্যাদার যোগ্য, তবে সেটি বিবেচনা করতেই পারে।
তিনি বলেন, মাহেরীন তার কাজের মধ্য দিয়েই বেঁচে থাকবেন। ওর জীবদ্দশায় এমন কিছু হলে হয়তো কিছু বলার থাকত। এখন আর কিছু বলার নেই। শুধু চাই, ওর রেখে যাওয়া সম্মান যেন সন্তানরা ধরে রাখতে পারে।
দুই সন্তানের মা মাহেরীনের মৃত্যুতে পরিবার গভীরভাবে শোকাহত। তিনি বলেন, ওদের জীবন কেবল শুরু হয়েছিল। ওদের মায়ের জায়গাটা আর কেউ পূরণ করতে পারবে না।
প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্তে নিহত অন্য শিশুদের দিকেও দৃষ্টি রাখেন তিনি। বলেন, মাহেরীনের সঙ্গে যারা শহীদ হয়েছে, সেই নিষ্পাপ শিশুগুলোর জন্যও আমাদের দোয়া রইল।
প্রসঙ্গত, গত ২১ জুলাই দুপুরে রাজধানীর উত্তরার মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের পাশে বিমান বাহিনীর একটি প্রশিক্ষণ বিমান আছড়ে পড়ে। মুহূর্তেই আগুন ধরে যায় পাশের ভবনে। ধোঁয়ার মধ্যে শিক্ষার্থীদের বাঁচাতে গিয়ে শিক্ষিকা মাহেরীন চৌধুরী দগ্ধ হন। পরে রাত ৯টা ৪৫ মিনিটে তিনি লাইফ সাপোর্টে মারা যান।
এদিকে ২৪ জুলাই উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে নিহত দুই শিক্ষককে রাষ্ট্রীয় সম্মাননার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। শিগগিরই তা বাস্তবায়নের প্রক্রিয়া শুরু হবে।