মঙ্গলবার (২৯ জুলাই) সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত সরেজমিনে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে দেখা যায়, টার্মিনাল-১ ও টার্মিনাল-২ এর প্রতিটি ফটকের সামনে জনস্রোত। বিদেশগামী যাত্রীদের স্বজনদের উপচে পড়া ভিড়ে ফটকগুলো কোথায়-তা দূর থেকে বোঝা যায় না।
স্বজনদের অনেকেই ফটকের সামনে বসে আছেন, কেউ ধূমপান করছেন, কেউ পান চিবিয়ে গল্প করছেন। কোলাহলে মুখর পরিবেশে মনে হয় যেন দেশের প্রধান বিমানবন্দর নয়, বরং একটি জনাকীর্ণ মাছের বাজার।
যাত্রী মাহমুদুল হাসান বলেন, ব্যবসার প্রয়োজনে বহু দেশের বিমানবন্দর দেখেছি। কোথাও এমন অবস্থা দেখিনি। পরিবার বা স্বজনরা বিমানবন্দরে ঢোকে না। অথচ ঢাকার বিমানবন্দর যেন জনসভাস্থল!
ডিপারচার ড্রাইভওয়ে ও অ্যারাইভাল ক্যানোপিতে যাত্রীর সঙ্গে সর্বোচ্চ দুজন প্রবেশ করতে পারবে- এমন নির্দেশনা দিয়েছিল বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ। গত ২৫ জুলাই তা ঘোষণা করে ২৭ জুলাই থেকে কার্যকর করার কথা বলা হয়েছিল। কিন্তু বাস্তবে এর প্রয়োগ দেখা যায়নি।
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা যাত্রীদের স্বজনদের ফটক থেকে সরাতে বারবার চেষ্টা করলেও, তা কার্যকরভাবে বাস্তবায়িত হয়নি।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, শুধুমাত্র নির্দেশনা দিলেই চলবে না, তার জন্য চাই কঠোর নজরদারি ও বাস্তবমুখী ব্যবস্থা।