নিজস্ব প্রতিবেদক
২৫ নভেম্বর, ২০২৫, 6:00 PM
ওয়ালটন–মার্সেলের বিরুদ্ধে ভুয়া মানববন্ধন: ভাড়াটে চক্রের অপপ্রচার
জাতীয় শহীদ মিনারে “ওয়ালটন ও মার্সেল ক্ষতিগ্রস্ত ডিলার ঐক্য পরিষদ” নামে অপ্রমাণিত একটি ব্যানার ব্যবহার করে আয়োজিত মানববন্ধনে গিয়ে দেখা গেছে-অভিযোগ, পরিচয় ও অংশগ্রহণকারীদের উদ্দেশ্য সবই প্রশ্নবিদ্ধ।
ভুয়া পরিচয় ও অজ্ঞ অংশগ্রহণকারী
প্রতিবেদকের প্রশ্নে অধিকাংশ অংশগ্রহণকারী কোনো ডিলার কোড, শোরুম তথ্য বা অভিযোগের ভিত্তি দেখাতে পারেননি। কেউ শোরুম কর্মচারী হয়ে ডিলার পরিচয় দিয়েছেন, কেউ আবার মিনিস্টার কোম্পানির বিরুদ্ধে মানববন্ধনে এসেছেন বলে জানিয়েছেন- কিন্তু ওয়ালটন–মার্সেল ব্যানারে দাঁড়ানোর কারণ ব্যাখ্যা করতে পারেননি।
একজন মামলার কপি দেখাতে ব্যর্থ হয়ে সাংবাদিকদের ওপর চড়াও হন। এভাবে কয়েকজন ডিলার পরিচয় দিলেও কেউই ডিলার কোড জানাতে পারেননি।
সব মিলিয়ে ঘটনাটি প্রকৃত ডিলারদের দাবি নয়- বরং একটি পরিকল্পিত ভুয়া আয়োজন।
অভ্যন্তরীণ সূত্র: বাকির টাকা আত্মসাৎকারীদের নতুন কৌশল
ওয়ালটন–মার্সেলের কর্মকর্তাদের দাবি-গাজীপুরের একটি চক্র দীর্ঘদিন ধরে বাকিতে পণ্য নিয়ে টাকা পরিশোধ করেনি। কোম্পানি মানবিক বিবেচনায় পুনরায় পণ্য দিলেও তারা দ্বিতীয় দফার টাকা ফেরত না দিয়ে উল্টো নতুন দাবি তুলেছে।
আইনানুগভাবে পাওনা চাইতেই চক্রটি ভাড়াটে লোকজন এনে ভুয়া মানববন্ধন করে-এমন অভিযোগ কোম্পানির।
বিশেষজ্ঞ মত: দেশীয় শিল্পকে দুর্বল করার অপচেষ্টা
অর্থনীতিবিদরা বলছেন- ভুয়া ব্যানার, ভাড়াটে অংশগ্রহণকারী ও মিথ্যা অভিযোগ দেশের বৃহৎ দেশীয় শিল্পকে ক্ষতিগ্রস্ত করার অপচেষ্টা।
ডিলার কোড বা চুক্তির নথি ছাড়া ডিলার দাবি করা প্রতারণার শামিল বলেও তারা মন্তব্য করেন।
ওয়ালটন–মার্সেলের অবদান-
- ৩০–৪০ হাজার সরাসরি চাকরি
- লক্ষাধিক পরোক্ষ কর্মসংস্থান
- রপ্তানিতে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন
- সম্পূর্ণ দেশীয় প্রযুক্তিনির্ভর ইলেকট্রনিক্স উৎপাদন
এমন একটি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে পরিকল্পিত বিভ্রান্তি জাতীয় অর্থনীতির জন্য হুমকি বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা।
শেষকথা
২৫ নভেম্বরের মানববন্ধন প্রকৃত ডিলারদের আন্দোলন নয়; এটি আত্মসাৎকারী চক্রের দৃষ্টি ঘোরানোর অপচেষ্টা।
ভাড়াটে লোকজন, ভুয়া ব্যানার ও ভুল তথ্যের সমন্বয়ে এটি দেশীয় শিল্পের বিরুদ্ধে পরিকল্পিত অপপ্রচারের জঘন্য উদাহরণ।
দেশীয় শিল্প রক্ষায় চক্রটির বিরুদ্ধে দ্রুত আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি উঠেছে।