ডেস্ক রিপোর্ট
২৬ জুলাই, ২০২৫, 2:01 PM
পাহাড়ে আবার গুলি! ইউপিডিএফের দাবি ‘ভুয়া নাটক’
খাগড়াছড়ির দীঘিনালা উপজেলার দুর্গম নাড়াইছড়িতে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে ইউপিডিএফ (প্রসিত) ও জেএসএস (সন্তু) সদস্যদের মধ্যে গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। এতে অন্তত চারজন নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে পুলিশ।
শুক্রবার (২৫ জুলাই) রাত সাড়ে ৮টার দিকে উপজেলার সিন্ধু কারবারিপাড়া এলাকায় এ সংঘর্ষ ঘটে। দীঘিনালা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জাকারিয়া জানান, ইউপিডিএফের সামরিক কমান্ডার বিপ্লব চাকমার নেতৃত্বাধীন ৪০-৪৫ জনের একটি দল এবং জেএসএসের কমান্ডার জয়দেব চাকমার নেতৃত্বাধীন আরেকটি দলের মধ্যে গুলিবিনিময় হয়।
ওসি বলেন, “গোলাগুলিতে ইউপিডিএফ (প্রসিত)-এর সামরিক শাখা 'গণমুক্তি ফৌজ'-এর চার সদস্য নিহত হয়েছেন বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে। আহত হয়েছেন আরও অনেকে। তবে এখনো নিহতদের পরিচয় নিশ্চিত হওয়া যায়নি।”
ঘটনার পর এলাকা পরিদর্শন করেছে পুলিশ ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে বলে জানান ওসি জাকারিয়া।
তবে ইউপিডিএফের খাগড়াছড়ি জেলা সংগঠক অংগ্য মারমা এক বিবৃতিতে গোলাগুলির এ খবর অস্বীকার করেছেন। তিনি দাবি করেন, “এই ধরনের কোনো ঘটনা ঘটেনি। ইউপিডিএফ একটি গণতান্ত্রিক দল, যার কোনো সামরিক শাখা নেই।”
তিনি আরও বলেন, সম্প্রতি ভাইবোনছড়ায় ত্রিপুরা কিশোরীকে দলবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় পাহাড়ে যে গণআন্দোলন গড়ে উঠেছে, সেখান থেকে জনদৃষ্টি সরাতেই একটি মহল ‘গোলাগুলির ভুয়া নাটক’ তৈরি করছে।
উল্লেখ্য, ১৯৯৭ সালের পার্বত্য শান্তি চুক্তির পর জেএসএস-এর ভেতর ভাঙন দেখা দেয় এবং গঠিত হয় ইউপিডিএফ। দুই পক্ষের মধ্যে দীর্ঘ সময় ধরে সশস্ত্র দ্বন্দ্ব চলার পর ২০১৬ সালে সংঘর্ষ কিছুটা থেমে এলেও পরবর্তী সময়ে উত্থান ঘটে নতুন ভাঙনের—যেমন জেএসএস (এমএন লারমা) ও ইউপিডিএফ (গণতান্ত্রিক)। ফলে ফের অশান্ত হয় পাহাড়।