ডেস্ক রিপোর্ট
২৮ জুলাই, ২০২৫, 10:34 PM
ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে নজরদারি বাড়াতে ৫ হাজার বডি ক্যামেরা বিতরণ
ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে নিরাপত্তা ব্যবস্থাকে আধুনিক ও তথ্যভিত্তিক করতে ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ) পাচ্ছে ৫ হাজারের বেশি বডি-ওর্ন ক্যামেরা এবং বায়োমেট্রিক যন্ত্র। ভারতের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্প্রতি দুটি গুরুত্বপূর্ণ প্রস্তাবে অনুমোদন দিয়েছে।
বডি-ক্যামেরাগুলো নাইটভিশন সক্ষম, এবং প্রতিটি ডিভাইস ১২-১৪ ঘণ্টা পর্যন্ত ভিডিও রেকর্ড করতে পারে। এই ক্যামেরাগুলো সীমান্তে চোরাচালান, অনুপ্রবেশ, পুশব্যাক, এমনকি বিএসএফ সদস্যদের ওপর হামলার ঘটনাও রেকর্ড করবে।
নির্বাচিত সীমান্ত চৌকিতে বসানো বায়োমেট্রিক যন্ত্রগুলোতে বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদের আঙুলের ছাপ ও চোখের আইরিস স্ক্যান নেওয়া হবে। এই তথ্য ‘ফরেনার্স রেজিস্ট্রেশন অফিস (FRO)’-এ সংরক্ষণ করে ভারতীয় ডেটাবেসে অন্তর্ভুক্ত করা হবে।
২০২৪ সালের ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর ভারত সীমান্তে নিরাপত্তা জোরদার করে। এর পরই বিএসএফের সক্ষমতা বাড়াতে সরকার নতুন এই প্রযুক্তিগত পন্থা গ্রহণ করে।
সরকারি তথ্য অনুযায়ী ২০২৫ সালের ১৫ জুলাই পর্যন্ত বিএসএফ ১ হাজার ৩৭২ জন বাংলাদেশিকে অনুপ্রবেশের সময় আটক করে। বহির্গামী বাংলাদেশি হিসেবে ধরা পড়ে ৩ হাজার ৫৩৬ জন। ২০২৪ সালে অনুপ্রবেশকারী ছিল ২ হাজার ৪২৫ জন, আর বহির্গামী ১ হাজার ৪৯ জন।
তথ্য অনুযায়ী, গত বছর সীমান্তে ভারত ও বাংলাদেশ উভয় দেশের দুষ্কৃতীদের দ্বারা বিএসএফ সদস্যদের ওপর ৭৭টি হামলার ঘটনা রেকর্ড করা হয়েছে, যেখানে চলতি বছরের জুন পর্যন্ত এই সীমান্তে ৩৫টি হামলার ঘটনা ঘটেছে।
বিএসএফ দাবি করছে, দেহ-ক্যামেরা ও বায়োমেট্রিক যন্ত্রের মাধ্যমে সীমান্ত অপরাধ ও মানব পাচার ঠেকানো সম্ভব। অপরদিকে, বাংলাদেশ বারবার অভিযোগ করেছে বিএসএফ অতিরিক্ত বলপ্রয়োগ করে। এখন থেকে ক্যামেরার ফুটেজ থাকবে তদন্তে প্রমাণ হিসেবে।
পহেলগাম হামলার পর ভারতের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় রাজ্যগুলোকে অবৈধ বাংলাদেশিদের শনাক্ত করে বহিষ্কারের নির্দেশ দিয়েছে। এখন প্রতিটি সীমান্ত চৌকিতে অনুপ্রবেশকারীদের তথ্য রেকর্ড রাখা হবে।